Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

খেলাধুলা ও বিনোদন

 

মুন্সীগঞ্জ বিক্রমপুর এককালে শিক্ষা, সংস্কৃতি, জ্ঞান-বিজ্ঞান, ব্যবসা-বানিজ্যেযেমন ছিল উন্নত তেমনি খেলাধুলায় ও ছিল সুনাম। শুধু বাংলাদেশে নয়, ভারতের বহু নামী দামী খেলোয়াড়ের জন্ম মুন্সিগঞ্জের গজারিয়ায়। বৃটিশ শামনামলে গজারিয়া ছিল ভারতের ত্রিপুরা জেলার অন্তর্গত।এ অঞ্চলের প্রধান খেলাধুলো ছিল হাডুডু, কাবাডী, কুস্তী, সাঁতার ইত্যাদি। দেশ বিভাগের পর গজারিয়া উপজেলার এলাকা যখন ত্রিপুরা জেলা হতে বৃহত্তম ঢাকা জেলার অন্তর্গত হয় সে সময় হাডুডু ও কাবাডী খেলার জন্য স্বর্নযুগ বলা চলে। তৎসময়ে ঢাকা বনাম ত্রিপুরা জেলার মধ্যে হাডুডু-কাবাডী খেলার তুমুল প্রতিযোগিতা  হতো। দিন-রাতভর উত্তেজনাকর পরিস্থিতিতি খেলা চলতো।টানা১ সাপ্তাহ কিংবা মাসব্যাপী। ফুটবল খেলায়ও যথেষ্ট অবদান রেখেছেন গজারিয়াবাসী। গজারিয়ার কৃতি ফুটবলাররা হলন তেতুইতলার জাহাঙ্গীর হোসেন, ভবেরচরের হানিফ, হোসেন্দির রড়মুফতি, বাউশিয়ার মোতালেব দেওয়ান, শ্রী-অতুল চক্রবতী, হাতেম আলী, প্রেমানন্দ, পৌক্ষারপাড়ের মো: হোসেন মৃধা, ভবের চরের জামাই নূরূল্লাহ, উত্তর শাহাপুরের আ:রাজ্জাক, ভিটিকান্দির খোকন, ভিটিকান্দির আ: সাত্তার মিয়া ও মোহাম্মদ আলী, গজারিয়ার জোবেদ আলী, আলীপুরের ওয়াজকুরনী,নয়াকান্দির আবুল কাশেম, আনারপুরের আবদুল মতিন, রমিজউদ্দিন, আ: করিমমাষ্টার, বজলুলহক  সরকার, আ:আউয়াল সরকার, বালুয়াকান্দির শাহাজাহান, মরহুম আ: জালিল খান, মরহুম আবুল কাশেম খান, মরহুম  আবুল হাসেমখান, জামাল আহম্মেদ, মালেক, মালাই, আবুল হোসেন, সলিমুল্লাহ, বাদল ঝিনু, আদিল, মাসুম, নাঈমুল, শফিক, সামাদ, ফয়েজউদ্দিন, সফি, আনু, খোকা, মঈনউদ্দিন, মনির হোসেন, জাহাঙ্গীর হোসেন প্রমুখ। তৎকালে এলাকায় কাবাডী ও হাডুডুখেলায় যারা উল্লেখযোগ্য অবদান রাখতে সক্ষম হয়েছেন তারা হলন বাউশিয়ার মমিন মিয়া, হান্নানমিয়া, তেতৈতলার সুবল বালুয়াকান্দির রবিউল্লা, সফিউল্লা, আইয়ুব আলী, লক্ষীপুরের আব্দুল হাসেম, মাথাভাঙ্গার আবুল, বাউশিয়অর মাজহারূল ইসলাম ছন্দু, বলাকির গিয়াসউদ্দিন বৈদ্ব্যারগাঁওয়ের সিরাজুল ইসলাম পিন্টু প্রমুখ।গজারিয়ার এ সব কৃতি খেলোয়াড়রা ক্রিড়াঙ্গনে যথেষ্ট সুনাম অর্জন করেছেন। ২০০৭ ও২০০৮সালে গজারিয়া পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রী ফৌজিয়া আক্তার ৩৬ তম শীতকালিন জাতীয় প্রতিযোগীতায় ১০০ মিটার এবং ২০০ মিটার দৌড়  বাংলাদেশের মধ্যে প্রথম স্থান অর্জন করে ব্যক্তিগত চ্যাম্পিয়ানশীপ লাভকরেন।১৯৯৪ সালে মুন্সীগঞ্জ জেলার প্রতিনিধিত্বকারী কাবাডী দল হিসেবে শেরপুরে অনুষ্ঠিত কাবাডি খেলায় গজারিয়া গ্রুপ প্রশংসা অর্জন করে।ক্রীড়াঙ্গানে গজারিয়ার সবচেয়ে আলোচিত ব্যক্তিদ্বয়ের মধ্যে কুস্তি খেলায় মনারকান্দির বেনজির আহম্মেদ স্বর্নপদক লাভ করেন। জাতীয় পর্যায়ে জিমনাষ্টিক প্রতিযোগিতায় ভবনীপুরের দেওয়ান নজরুল ইসলাম বিশেষ খ্যাতি অর্জন করেছেন।গজারিয়ার ক্রীড়া ব্যক্তিত্ব বাফুফের রেফারী আলী আক্তার হোসেন।গজারিয়ারএসব ফুটবল, কুস্তি, কাবাডি ও হাডুডু খেলোয়াড়রা গজারিয়া সহ মুন্সীগঞ্জকেসমৃদ্ধশালী করেছেণ।