মামলা করার প্রক্রিয়া ও তার পরবর্তী কার্যক্রম।
১। কোন ধর্তব্য অপরাধের খবর পেলে জনগণ তা সাথে সাথে পুলিশকে জানাবে।
২। এ ধরনের অপরাধের ক্ষেত্রে জনগণ বা পুলিশ বাদী হয়ে মামলা দিতে বা নিতে পারে।
৩। ধর্তব্য অপরাধের ক্ষেত্রে পাবলিক বাদী হয়ে মামলা দিতে হলে …
ক) থানায় অফিসার ইনচার্জ বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দিতে হবে ।
খ) অভিযোগ প্রাপ্তির পর পুলিশ ঘটনার সত্যতা যাচাই করে ঘটনাটি সঠিক পাইলে উক্ত অভিযোগের উপর ভিত্তি করে থানায় মামলা হবে।
গ) মামলা রুজু হবার পর মামলাটি তদন্ত করার জন্য পুলিশ উপ-পরিদর্শক বা তার উর্ধতন কোন পুলিশ অফিসার মানলাটি তদন্ত করবেন ।
ঘ) পুলিশ আসামিদের গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করার চেষ্টা করবে।
ঙ) তদন্ত শেষে তিনি ঘটনার সাথে আসামিদের জড়িত থাকার বিষয়টি প্রমান পাইলে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করা হবে।
চ) প্রমান না পাইলে মামলাটি নিস্পত্তির জন্য আদালতে চুরান্ত রিপোর্ট দাখিল করবেন।
ছ) অভিযোগ প্রাপ্তির পর কোর্ট আসামীদের গ্রেফতার করিয়া আদালতে সোপর্দ করার জন্য আসামীদের বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট জারি করবে।
জ) ওয়ারেন্ট জারির পরও যদি আসামীদের গ্রেফতার করে কোর্টে প্রেরণ করা না যায় তবে কোর্ট আসামীদের অস্থাবর সম্পত্তি ক্রোক করার জন্য আদেশ দিয়ে থাকেন।
ঝ) তার পরও যদি আসামীরা আদালতে হাজির না হয় বা তাদের হাজির করা না যায় তবে তাদের আদালতে একটি নিদ্রিষ্ট সময়ের মধ্যে হাজির হবার জন্য দৈনিক জাতীয় পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রদানের মাধ্যমে আদালতে হাজির হয়ে আত্মপক্ষ সমর্থনের জন্য বলা হবে।
ঞ) বিজ্ঞপ্তি জারির পরও যদি আসামিরা আদালতে হাজির না হয় তবে আদালত তাদের অনুপস্থিতিতে বিচার কার্যক্রম শুরু করে থাকে।
সাধারণ ডাইরী (জিডি) করার নিয়মাবলী
সাধারণত কোন কিছু হারিয়ে গেলে বা অধর্তব্য অপরাধের ক্ষেত্রে থানায় সাধারণ ডাইরী করা হয়।
সাধারণ ডাইরী করার ধাপ সমুহঃ
ক) যে থানা এলাকায় ঘটনাটি সংঘটিত হয়েছে সে থানার অফিসার ইনচার্জ বরাবর ঘটনাটি কখন, কোথায়, কিভাবে ঘটেছে ইত্যাদি তথ্য সম্বলিত একটি লিখিত আবেদনের মাধ্যমে সাধারণ ডাইরী করার আবেদন করতে হয়।
খ) থানায় ডিউটি অফিসার, অফিসার ইনচার্জ এর পক্ষে উক্ত আবেদনের প্রেক্ষিতে সাধারণত সাধারণ ডাইরী লিপিবদ্ধ করে থাকে ।
গ) বাদীর আবেদনপত্রে সাধারনত কর্তব্যরত ডিউটি অফিসার স্বাক্ষর করে বাদীকে সাধারণ ডাইরীর এক কপি বুঝিয়ে দিবেন।
জিডি তদন্ত করার নিয়ামবলীঃ
ক) প্রথমে ঘটনাটি তদন্ত করার জন্য বিজ্ঞ আদালতের অনূমতির চাহিয়া তদন্তকারী অফিসার আদালতের কাছে আবেদন করিবেন।
খ) আদালতের অনুমতি প্রাপ্ত হয়ে তদন্তকারী অফিসার ঘটনাটি তদন্ত করার জন্য ঘটনাস্থলে যাবেন।
গ)প্রাপ্ত সাক্ষী প্রমানে বিবাদীর বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ প্রাথমিকভাবে প্রমানীত হইলে প্রমানীত হইলে তার বিরুদ্ধে প্রকাশ্য আদালতে বিচারের নিমিত্তে বিজ্ঞ আদালতের বরাবর নন এফ আই আর প্রসিকিউসন নিতে হয় ।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস